ডালিম ফল এর উপকারিতা - ডালিম ও বেদানার পার্থক্য
ডালিম ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকে আমরা ডালিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানবো। ডালিম এমন একটি ফল যার উপকারিতা শেষ নেই। ডালিম ফল আমাদের দেহের অনেক উপকারিতা করে।ডালিম ফল থেকে আমরা অনেক ভিটামিন পেয়ে থাকি। ডালিম ফল পুরোটাই পুষ্টি উপাদান দ্বারা ভরপুর যেটি,আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আর তাছাড়াও আমরা জানবো ডালিম ও বেদানার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানবো। আমাদের কম বেশি অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে ডালিম ও বেদানার পার্থক্য নিয়ে। তরুণ আজকে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্যগুলো জেনে নিই।
আজকে আমরা ডালিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানবো। ডালিম এমন একটি ফল যার উপকারিতা শেষ নেই। ডালিম ফল আমাদের দেহের অনেক উপকারিতা করে।ডালিম ফল থেকে আমরা অনেক ভিটামিন পেয়ে থাকি। ডালিম ফল পুরোটাই পুষ্টি উপাদান দ্বারা ভরপুর যেটি,আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আর তাছাড়াও আমরা জানবো ডালিম ও বেদানার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানবো। আমাদের কম বেশি অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে ডালিম ও বেদানার পার্থক্য নিয়ে। তরুণ আজকে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্যগুলো জেনে নিই।
সূচিপত্র
- ডালিম ফল এর উপকারিতা
- ডালিম ও বেদানার মধ্যে পার্থক্য
- ডালিম ফল খাওয়ার নিয়ম
- ডালিম বিচি সহ নাকি বিচি ছাড়া খাওয়া ভালো
- ডালিম ফলে কি কি ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান থাকে
- পাকা ও ভালো ডালিম চেনার উপায়
- গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়া যাবে কিনা
- ডালিম ফল যেগুলো রোগ প্রতিরোধ করে
- ডালিম খেলে কী রক্ত বাড়ে
- ডালিমের বিচির উপকারিতা
- ডালিমের পাতার উপকারিতা
- ডালিম গাছ রোপণ পদ্ধতি
- ডালিম ফলের কিছু অপকারিতা
- শেষ কথা
ডালিম ফল এর উপকারিতা
ডালিম ফল এর উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো। ডালিম এমন এক ধরনের ফল যার কোন উপকারিতার শেষ নেই। এ ফোর কে আমাদের স্বাস্থ্য সুন্দর রাখতে ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এখন আমরা জানবো ডালিমের সব উপকারিতা দিকগুলো
1 ডালিমের ভিতরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনলিক যৌবন মিশ্রণ। এইগুলো
আমাদের শরীরের ভিতরে গিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও সুন্দর স্বাস্থ্য
সুনিশ্চিত করে।
2 ডালিমের ভিতরে কিছু কিছু যৌগ উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধ করার জন্য সক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি নিয়মিত খায় ডালিম ফল তাহলে সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।
3 আমাদের অনেকের শরীরে টিউমার রয়েছে। যদি আমরা নিয়মিত ডালিম ফল খাই তাহলে এই টিউমার ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসবে ও একটা সময় টিউমার দূর হয়ে যাবে শরীর থেকে।
3 আমাদের মধ্যে অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত। আমরা যদি নিয়মিত ডালিম ফল খায় তাহলে এই হৃদরোগ ভালো হয়ে যাবে আশা করা যায়। ডালিমের ভিতরের রস হৃদরোগের জন্য অনেক কার্যকরী।
4 ডালিমের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। যাদের রক্তশূন্যতার রয়েছে ও যাদের হিমোগ্লোবিনের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ডালিম খেতে পারেন।
5 ডালিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আমাদের হাড়ের ক্ষয় রোধ ওহারের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
6 ডালিম ফল আমাদের মস্তিষ্কের সমস্যা দূর করে সাহায্য করে ও মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ও মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
7 আমরা যদি নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
8 আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই হজমের সমস্যা রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত ডালিম ফল খাই তাহলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে ধীরে ধীরে।
9 কিডনিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় অনেক মানুষেরই তারা নিয়মিত ডালিম ফল খেতে পারেন। ডালিম ফল খেলে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
10 আমাদের অনেকের ই প্রসাবের সমস্যা হয়ে থাকে।
যদি আমরা নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে প্রসাবের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
11 ডালিম ফল আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
12 যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা রয়েছে তারা ডালিম ফল খেতে পারেন। ডালিম ফল খেলে ডায়াবেটিসের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে।
13 ডালিমের ভিতরে এমন এক ধরনের যৌগ রয়েছে যা আমাদের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ছাত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের শরীর এগুলো রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা পায়।
মূলত এগুলো হলো ডালিমের উপকারিতা। এছাড়া অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই আমাদের নিয়মিত দিনে একটি করে হলেও ডালিম খাওয়া উচিত।
ডালিমের উন্নত জাতকে বেদানা বলা হয়। তবে যদি বেদানা কেউ ডালিম বলেন তাহলেও কোন অসুবিধা নাই। এগুলো ফলকে একেক জায়গায় একেক নামে ডাকা হয়। আমাদের বাংলাদেশের ই বেশিরভাগ মানুষ এ ফলকে ডালিম বলে। কিন্তু বাইরের দেশে এ ফলকে বেদানা বলে। কিন্তু তাছাড়াও আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থেকে যায় যে ডালিমের রং হালকা হলুদ হয় ও বেদানার রঙ তাহলে লাল হয় কেন?
এ প্রশ্নটি আমাদের সবার মনে এখনও রয়েছে। ডালিমের রং হলুদ হয় ও বেদানার রং লাল হয় কারণ বেদানা হচ্ছে ডালিমের উন্নত জাতের ফল এজন্য এটি লাল হয়। কিন্তু দুইটি একই ফল। এখন আমরা জানবো বেদানা ও ডালিম এর মধ্যে পার্থক্য ও কিভাবে চিনব বেদে না কোনটা ও কিভাবে চিনবো বেদানা কোনটা ডালিম কোনটা।
1 বেদানা ও ডালিম প্রায় একই রঙ্গের। কিন্তু ডালিমের চেয়ে বেদানা মিষ্টি বেশি হবে।
2 ডালিমের রং টা কিছুটা হলুদ ও গোলাপি হয়ে থাকে। আর বেদনার রং পুরোটাই লাল হয়ে থাকবে।
3 ডালিমের ভিতরে হালকা লাল থাকবে। কিন্তু বেদানা ভিতরে পুরোটা গাড়ো লাল হয়ে থাকবে।
মূলত আমরা এগুলো বৈশিষ্ট দেখলে চিনতে পারবো ডালিম ও বেদানা কোনটা। কিন্তু মূলত দুইটি একই ফল। এখন আমরা জানবো ডালিম বা বেদানা এর বৈজ্ঞানিক নাম। ডালিম বা বেদানা এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো :punica granatum বলা হয়। কি হলো একটি Lythraceae পরিবারের punica গনের অন্তর্ভুক্ত একটি ফল।
ডালিম ও বেদানা এর ইংরেজি নাম হলো পমেগ্ৰেনেট (pomegranate) বলা হয়। আশা করি আমরা এখন জানতে পারছি যে ডালিম বা বেদানা ভিন্ন ফল নয়। দুইটি একই জাতের ফল কিন্তু ডালিমের চেয়ে বেদানা একটু উন্নত জাতের ফল।
ডালিম প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টিগন্ধা ভরপুর আমরা যে সকালে খাবার খাই ডালিম অন্যান্য খাবারের সাথে বা অন্যান্য ফলের সাথে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকবো। তাছাড়াও আমরা হালকা দুপুরে ডালিম ফল খেতে পারি। এ সময় আমাদের শরীরে অনেক উপকারিতা হবে যদি ডালিম ফল খায় তাহলে। আবার আমরা অনেকে বিকেল বেলা ফলমূল খেতে পছন্দ করি।
যদি আমরা বিকেলবেলা অন্যান্য ফলের সাথে যদি ডালিম ফলও খায় তাহলে অনেক উপকারিতা হবে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। ডালিম ফল এমন একটি ফল যেটা পুরোপুরি ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান দেওয়া ভরপুর। ডালিম ফল হলে একটি স্বাস্থ্যকর ফল। ডালিম ফল আমরা সব সময় খেতে পারি কোন অসুবিধা নাই।
আমরা যদি ডালিম বেশি সহকারে খায় তাহলেও অনেক উপকারিতা পাব কারণ ডালিমের বিচিতে অনেক পরিমান পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা আমাদের সুন্দর স্বাস্থ্য গঠনের সাহায্য করে থাকে। ডালিমের ফুল অত্যন্ত উপকারী। আমাদের মধ্যে হঠাৎ করে কারো যদি কোন দুর্ঘটনা হয় তাহলে তার শরীরের অনেক জায়গা থেকে রক্তপাত হয়।
সেই সময় যদি রক্তপাত বন্ধ না হয় তাহলে আমরা ডালিমের পাতা পিষে যদি ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিই তাহলে রক্তপাত ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। ডালিমের গাছের শিকরে অনেক ধরনের ঔষধি গুন রয়েছে আমরা যদি ডালিম গাছের শিকড় খায় তাহলে আমাদের অনেক জটিল ও গোপন রোগ থেকে মুক্ত পাব। তাছাড়া আমাদের যখন পেটের অসুবিধা হয় সেই সময় যদি আমরা ডালিম গাছের চামড়া বা ছোলা যদি পানিতে ভিজিয়ে খায় তাহলে আমাদের পেটের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এজন্য বলা যেতে পারে যে ডালিম ফল আমাদের জন্য অনেক উপকারী। ডালিম ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর দেহ গঠনে সাহায্য করে থাকে।
তাছাড়া ডালিমের ভিতর রয়েছে ১২ শতাংশ পটাশিয়াম। এগুলো আমাদের শরীরে দৈনিক ভিটামিন এর অভাব পূরণ করবে। তাছাড়াও একটি পরিপুষ্ট ডালিমের ভিতর আরো অনেক কিছু রয়েছে। ডালের ভেতর রয়েছে যেমন ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৩ গ্রাম চর্বি এবং ১১.৩ গ্রাম ফাইবার। তাছাড়াও রয়েছে ডালিমের ভিতরে পরিমাণ মতো ভিটামিন সি শের উপাদান।
তাছাড়াও আরো রয়েছেন ভিটামিনের ভিতরে কিছু উপাদান সেগুলো হল ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম। তাই বলা যেতে পারে ডালিম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আমরা যদি নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে আমরা এগুলো পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ইত্যাদি পেয়ে থাকবো।
আমাদের প্রয়োজন দিনে একটি করে হলেও ডালিম ফল খাওয়া উচিত। কারন আমরা দেখলাম ডালিম ফলের ভিতরে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে ভিটামিন রয়েছে। যদি আমরা ডালিম ফল নিয়মিত খাই তাহলে এগুলো পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীর পেয়ে থাকবে। আমাদের শরীর সুস্বাস্থ্য থাকবে ও সুন্দর থাকবে যদি আমরা নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে।
ডালিম এমন এক ধরনের ফল যে ফল আমরা যদি গাছে বেশি দিন রাখি তাহলে ফলটি ফেটে যাবে ধীরে ধীরে। তাই আমরা যখন বুঝবো যে ফলটি ফেটে যাওয়ার সময় হয়েছে এখন তার আগে অর্থাৎ ফিরে যাওয়ার আগে ফলটি আমরা গাছ থেকে পেড়ে নিব। কারণ সেই সময় ফলটি পরিপুষ্ট ও একটু উন্নত মানের ডালিম হয়ে রূপান্তরিত হয়।
এছাড়াও যখন একটি ডালিম পরিপূর্ণভাবে পেকে যাবে। সেই সময় ডালিম গোলাকার ভাত থেকে একটু চ্যাপ্টা দেখতে লাগবে এবং ডালিমের গায়ে কিছু হালকা হালকা দাগ দেখা যাবে। এ সময় যদি আমরা ডালিমটি গাছ থেকে পেড়ে খায় তাহলে আমরা একটি পরিপূর্ণ ডালিম পাব। আমরা যদি এই ডালিম খাই তাহলে আমরা প্রয়োজন মত আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকবো।
তাই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে ডালিম খাওয়ার আগে পাকা ডালিম ও উন্নত মানের ডালিম নির্বাচন করে খাওয়া।
ডালিম এমন এক ধরনের ফল যা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে থাকেন। গর্ভাবস্থায় যদি ডালিম খাওয়া হয় তাহলে গর্ভবতী মা ও তার গর্ভের সন্তান এর শারীরিক বিকাশ খুব সুন্দর হয়। অনেক বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক গবেষণা করে দেখছেন যে গর্ভাবস্থায় ডালমীর দানা ও এর রস পান করা অনেক উপকারী।
ডালিমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, খনিজহ আরো বিভিন্ন ধরনের উপাদান। তাই এখন আমরা জানবো যে গর্ভাবস্থায় ডালিমের উপকারিতা গুলো
1 ডালিমের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এর উপাদান যা গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে থাকে।
2 ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম যা মা ও শিশুর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে থাকে।
3 ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় আমাদের মায়েরা যদি ডালিম খায় তাহলে তাদের দেহে হিমোগ্লোবিন তৈরি হবে যার ফলে শিশু ও মা দুজনে ভালো থাকবে।
4 ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও খনিজ যা গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরের প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম ও খনিজের অভাব পূরণ করে থাকে ও বাচ্চাকে সুন্দর ও সুস্থভাবে পৃথিবীতে আসতে সাহায্য
করে।
5 গর্ভাবস্থায় মহিলারা তাদের শরীরে প্রয়োজনে পুষ্টি উপাদানের জন্য অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন এর ফলে তাদের হজমের সমস্যা দেখা দেয়। যদি গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে এই হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
6 গর্ভাবস্থায় যদি ডালিম খাওয়া হয় তাহলে মা ও শিশুর হাড়ের গঠন মজবুত হবে।
7 গর্ভাবস্থার ডালিম খেলে শিশুর মস্তিষ্কে বিকাশে সাহায্য পেয়ে থাকবে।
8 গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ডালিম খেলে শিশুর দেহের ব্যাকটেরিয়া ও ছাত্ররা দূর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দূর হয়ে যাবে এবং শিশু সুন্দরভাবে পৃথিবীতে আসবে।
তাই আমরা বলতে পারি যে গর্ভাবস্থায় যদি আমরা পরিমাণ মতো ডালিম ফল খাই তাহলে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা নিশ্চিত করবে। আমাদের সকলের প্রয়োজন যে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পরিমাণ মতো ডালিম ফল খেতে দেওয়া। আর একটা জিনিস বিশেষ করে বলা যায় যে ডালিম ফলে প্রচুর পরিমাণ আইরন রয়েছে যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে।
তাই গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ডালিম ফল খাওয়া উচিত কারণ এটি খেলে শিশু ও মা দুজনে ভালো থাকবে।
1 আমাদের মধ্যে অনেকেরই হৃদরোগ রয়েছে যদি আমরা নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে আমাদের হৃদরোগ দূর হয়ে যাবে।
2 আমাদের মধ্যে প্রায় কম বেশি সবারই হজমের সমস্যা রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত ডালিম ফল খাই তাহলে আমাদের হজম শক্তি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
3 কুষ্টিকাশূন্য সমস্যা যাদের আছে তারা যদি নিয়মিত ডালিম ফল খায় তাহলে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।
4 ডালিম এমন একটি ফল যেটি খেলে ক্যান্সারের মতো রোগ কেউ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডালিমের বিষ আমাদের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। আমাদের ক্যান্সার হাতে বেচতে রোজ প্রতিদিন একটি করে হলেও ডালিম ফল খাওয়া উচিত।
5 শতকরায় ১০০ জন মানুষের মধ্যে পাঁচ জন মানুষ রক্তশূন্যতা আক্রান্ত রোগে ভুগতেছেন। আমাদের মধ্যে যারা রক্তশূন্যতায় রোগে আক্রান্ত তারা যদি নিয়মিত ডালিম খায় তাহলে এই রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যাবে। ডালিমের ভিতরে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে যা আমাদের শরীরে গিয়ে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের প্রতিদিন একটি করে হলেও ডালিম খাওয়া প্রয়োজন।
এছাড়াও ডালিমের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডালি মামাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর ফলে আমাদের হার্ট অ্যাটাক এর মতো রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ডালিমের রস যদি পান করে তাহলে আমাদের শরীরের রক্তচাপ প্রায় 5 mmHg কমাতে সাহায্য করে থাকে।
তাই আমরা বলতে পারি যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডালিম আমাদের শরীরের রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। ও তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগ অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাক এর মতন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আমাদের প্রয়োজন নিয়মিত দিনে একটা হলেও ডালিম খাওয়া। কারন আমরা জানলাম ডালিমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডালিম আমাদের হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে।
ডালিমের বিচি আমাদের মধ্যে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে ডালিমের বিচি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে ডালিমের বিচি সাহায্য করে। তাই আমরা বলতে পারি যে ডালিম ফল যেমন উপকারিতা তালিমের বিচি ও তেমন উপকারিতা। এক কথায় বলতে পারি যে ডালিমের গাছের শিকড় থেকে মাথা পর্যন্ত অর্থাৎ পাতা পর্যন্ত পুরোটাই উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য।
ডালিম গাছের পাতা মধু ও দই একসঙ্গে মিশে ফেলে গর্ভপাতের আশঙ্কা কমে যায়। শিশুদের ঘন ঘন পেটের গোলযোগ হলে,আমরা ডালিম গাছের শিকড় ডালিম গাছের পাতা মধু মিশিয়ে খেতে পারি। তাহলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে।
ডালিম গাছ হচ্ছে নাতিশীতোষ্ণ, আধা-শুষ্ক অঞ্চলে বেড়ে উঠতে পারে। ডালিম গাছের সর্বোওম বৃদ্ধির জন্য রৌদ্রোজ্জ্বল, উষ্ণ, শুষ্ক আবহাওয়া দরকার,বিশেষ করে গাছে ফল আসার সময় গুরুত্বপূর্ণ। শীত কালে এই গাছের ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া বিশেষ করে প্রয়োজন হয়।মাটির অতিরিক্ত আর্দ্রতা ফলন ও ফলের গুনমান কমিয়ে দেয়।
১ বছর বয়সের প্রতিটি গাছে গোবর ১০ কেজি, ইউরিয়া ১২৫ গ্রাম,টিএসপি ১২৫ গ্রাম এবং পটাশ সার ১২৫ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।প্রতি বছর সারের মাএা প্রয়োজন অনুসারে বাড়াতে হবে। পর্যায়ক্রমে পূর্ণ বয়স্ক প্রতিটি গাছে ৬০ কেজি গোবর, ১.৫ কেজি ইউরিয়া, ১.৫ কেজি টিএসপি এবং ১.৫ কেজি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার রোপনের আগে, ভালোভাবে কর্ষন ও আর্বজনামুক্ত করার পরামর্শ রয়েছে।
যাতে মাটির মধ্যে মিহি গঠনের ও সঠিক বায়ু চলাচল করতে পারে। ডালিম গাছে একাধিকবার কান্ড ছাঁটাই পর্বের সুপারিশ রয়েছে যাতে রোগের বিস্তার এড়িয়ে চলা যায়।ডালিম গাছের পক্ষে সবথেকে ভালো ফোঁটা ফোঁটা করে জলসেচ এবং বছরে ২০ সেমি. করে সরবরাহ করা। ডালিম গাছের জন্য উপযুক্ত সময় ১২০-১৩০ দিন।
চারা লাগানোর আগে গর্ত করার ৮-১০ দিন পর গর্তের মাটির সাথে নিম্নলিখিত হারে সার মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। গর্ত ভরার ২০/২৫ দিন পর চারা রোপন করতে হবে। কমপোস্টের গুড়া ৫০০ গ্রাম, ইউরিয়া ১৫০ গ্রাম, টিএসপি ১০০ গ্রাম, এমওপি ১০০ গ্রাম, জিপসাম ৭০ গ্রাম।উপরোক্ত পরিমান সার দুইভাগে ভাগ করে এক ভাগ জ্যৈষ্ঠ -আষাঢ় মাসে ও আরেক ভাগ আশ্বিন -কার্তিক মাসে গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে।
ডালিমের চাষাবাদ পরিষ্কার - পরিচ্ছন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন এবং নিয়মিত ভাবে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত হালকা পানি দিতে হবে। ছাদের আনার গাছের ডাল নিয়মিত ছাটাই করতে হবে। পুরাতন ডালে নতুন শাখা বের করার জন্য ডাল পালা ছাটাই করা একান্ত প্রয়োজন। গাছকে বর্ষার ফুল আসতে বাধ্য করার জন্য মার্চ -এপ্রিল মাসে ১৫ সেমি. গভীর করে মাটি খুঁড়ে শিকড়গুলোকে ১৫ দিন করে রাখতে হবে।
জৈব সারসহ মাটি চাপা দিয়ে সেচ দিতে হবে।ডালিম গাছে সারা বছরই কিছু না কিছু ফুল আসে।তবে সবসময়ে ফুল থেকে ফল উৎপন্ন হয় না। বর্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে গাছের বৃদ্ধি ও ফুল ফল ধারণ শুরু হয় এবং কার্তিক অগ্রহায়ন মাসে এই ফল সংগ্রহের উপযুক্ত হয়।
1 ডালিম সাধারণত ঠান্ডা একটি ফল। যাদের সর্দি কাশি আক্রান্ত তাদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ ডালিম খেলে হয়তো ঠান্ডা আরো বেশি লাগবে এতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
2 যাদের আইডি সমস্যা আছে তাদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়। আর যদি একান্ত ডালিম খেতে ইচ্ছা করে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত হবে।
3 যাদের উচ্চমায় রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য ডালিম খাওয়া উচিত নয়।
মূলত এই ধরনের কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে ডালিমে। তাই আমরা বলতে পারি যে ডালিমে ক্ষতি চেয়ে উপকারিতা পরিমাণ অনেক বেশি।
2 ডালিমের ভিতরে কিছু কিছু যৌগ উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধ করার জন্য সক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি নিয়মিত খায় ডালিম ফল তাহলে সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।
3 আমাদের অনেকের শরীরে টিউমার রয়েছে। যদি আমরা নিয়মিত ডালিম ফল খাই তাহলে এই টিউমার ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসবে ও একটা সময় টিউমার দূর হয়ে যাবে শরীর থেকে।
3 আমাদের মধ্যে অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত। আমরা যদি নিয়মিত ডালিম ফল খায় তাহলে এই হৃদরোগ ভালো হয়ে যাবে আশা করা যায়। ডালিমের ভিতরের রস হৃদরোগের জন্য অনেক কার্যকরী।
4 ডালিমের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। যাদের রক্তশূন্যতার রয়েছে ও যাদের হিমোগ্লোবিনের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ডালিম খেতে পারেন।
5 ডালিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আমাদের হাড়ের ক্ষয় রোধ ওহারের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
6 ডালিম ফল আমাদের মস্তিষ্কের সমস্যা দূর করে সাহায্য করে ও মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ও মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
7 আমরা যদি নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
8 আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই হজমের সমস্যা রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত ডালিম ফল খাই তাহলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে ধীরে ধীরে।
9 কিডনিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় অনেক মানুষেরই তারা নিয়মিত ডালিম ফল খেতে পারেন। ডালিম ফল খেলে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
10 আমাদের অনেকের ই প্রসাবের সমস্যা হয়ে থাকে।
যদি আমরা নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে প্রসাবের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
11 ডালিম ফল আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
12 যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা রয়েছে তারা ডালিম ফল খেতে পারেন। ডালিম ফল খেলে ডায়াবেটিসের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে।
13 ডালিমের ভিতরে এমন এক ধরনের যৌগ রয়েছে যা আমাদের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ছাত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের শরীর এগুলো রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা পায়।
মূলত এগুলো হলো ডালিমের উপকারিতা। এছাড়া অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই আমাদের নিয়মিত দিনে একটি করে হলেও ডালিম খাওয়া উচিত।
ডালিম ও বেদানার মধ্যে পার্থক্য
আমাদের কম বেশি অনেকে মনে একটু প্রশ্ন থাকে যে ডালিম ও বেদানার মধ্যে কোন পার্থক্য কী? তাছাড়া আরও প্রশ্ন রয়েছে যে ডালিম ও বেদেনা কি ভিন্ন ভিন্ন ফল? আরো অনেক প্রশ্ন রয়েছে আমাদের মনে। আজকে আমরা সেগুলো প্রশ্নের উত্তর সবগুলো জানব। ডালিমও বেদনা ভিন্ন ভিন্ন ফল নয়। ডালিম ও বেদনার একই ফল। ডালিমের অনেক জাত রয়েছে ও অনেক উন্নত উন্নত জাত রয়েছে।ডালিমের উন্নত জাতকে বেদানা বলা হয়। তবে যদি বেদানা কেউ ডালিম বলেন তাহলেও কোন অসুবিধা নাই। এগুলো ফলকে একেক জায়গায় একেক নামে ডাকা হয়। আমাদের বাংলাদেশের ই বেশিরভাগ মানুষ এ ফলকে ডালিম বলে। কিন্তু বাইরের দেশে এ ফলকে বেদানা বলে। কিন্তু তাছাড়াও আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থেকে যায় যে ডালিমের রং হালকা হলুদ হয় ও বেদানার রঙ তাহলে লাল হয় কেন?
এ প্রশ্নটি আমাদের সবার মনে এখনও রয়েছে। ডালিমের রং হলুদ হয় ও বেদানার রং লাল হয় কারণ বেদানা হচ্ছে ডালিমের উন্নত জাতের ফল এজন্য এটি লাল হয়। কিন্তু দুইটি একই ফল। এখন আমরা জানবো বেদানা ও ডালিম এর মধ্যে পার্থক্য ও কিভাবে চিনব বেদে না কোনটা ও কিভাবে চিনবো বেদানা কোনটা ডালিম কোনটা।
1 বেদানা ও ডালিম প্রায় একই রঙ্গের। কিন্তু ডালিমের চেয়ে বেদানা মিষ্টি বেশি হবে।
2 ডালিমের রং টা কিছুটা হলুদ ও গোলাপি হয়ে থাকে। আর বেদনার রং পুরোটাই লাল হয়ে থাকবে।
3 ডালিমের ভিতরে হালকা লাল থাকবে। কিন্তু বেদানা ভিতরে পুরোটা গাড়ো লাল হয়ে থাকবে।
মূলত আমরা এগুলো বৈশিষ্ট দেখলে চিনতে পারবো ডালিম ও বেদানা কোনটা। কিন্তু মূলত দুইটি একই ফল। এখন আমরা জানবো ডালিম বা বেদানা এর বৈজ্ঞানিক নাম। ডালিম বা বেদানা এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো :punica granatum বলা হয়। কি হলো একটি Lythraceae পরিবারের punica গনের অন্তর্ভুক্ত একটি ফল।
ডালিম ও বেদানা এর ইংরেজি নাম হলো পমেগ্ৰেনেট (pomegranate) বলা হয়। আশা করি আমরা এখন জানতে পারছি যে ডালিম বা বেদানা ভিন্ন ফল নয়। দুইটি একই জাতের ফল কিন্তু ডালিমের চেয়ে বেদানা একটু উন্নত জাতের ফল।
ডালিম ফল খাওয়ার নিয়ম
ডালিম আমরা কমবেশি সবাই খাই। ডালিম আমাদের একটি প্রিয় ফল। যে ফল খেতে আমার সবসময় ভালবাসি সেটি হলো ডালিম ফল। ডালিম ফল আমরা সাধারণত সবসময় খেতে পারি। কিন্তু কিছু কিছু সময় আছে যে সময় ডালিম ফল যদি আমরা খাই তাহলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা হবে। সাধারণত সকালের নাস্তার সাথে যদি আমরা ফলমুন হিসেবে ডালিম খাই তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো করবে।ডালিম প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টিগন্ধা ভরপুর আমরা যে সকালে খাবার খাই ডালিম অন্যান্য খাবারের সাথে বা অন্যান্য ফলের সাথে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকবো। তাছাড়াও আমরা হালকা দুপুরে ডালিম ফল খেতে পারি। এ সময় আমাদের শরীরে অনেক উপকারিতা হবে যদি ডালিম ফল খায় তাহলে। আবার আমরা অনেকে বিকেল বেলা ফলমূল খেতে পছন্দ করি।
যদি আমরা বিকেলবেলা অন্যান্য ফলের সাথে যদি ডালিম ফলও খায় তাহলে অনেক উপকারিতা হবে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। ডালিম ফল এমন একটি ফল যেটা পুরোপুরি ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান দেওয়া ভরপুর। ডালিম ফল হলে একটি স্বাস্থ্যকর ফল। ডালিম ফল আমরা সব সময় খেতে পারি কোন অসুবিধা নাই।
ডালিম বিচি সহ নাকি বিচি ছাড়া খাওয়া ভালো
ডালিম বিচি সহ নাকি বিচি ছাড়া খাওয়া ভালো। ডালিম ফল এমন এক ধরনের ফল যে শিকড় হতে পাতা পর্যন্ত সবই উপকারী। ডালিম একটি মজাদার ফল নয় বরং মানব শরীর গঠনে সুরক্ষা ও বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুণ রয়েছে এই ডালিম ফলের ভিতরে। ডালিম নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে যে ডালিমের অনেক উপকারিতা।আমরা যদি ডালিম বেশি সহকারে খায় তাহলেও অনেক উপকারিতা পাব কারণ ডালিমের বিচিতে অনেক পরিমান পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা আমাদের সুন্দর স্বাস্থ্য গঠনের সাহায্য করে থাকে। ডালিমের ফুল অত্যন্ত উপকারী। আমাদের মধ্যে হঠাৎ করে কারো যদি কোন দুর্ঘটনা হয় তাহলে তার শরীরের অনেক জায়গা থেকে রক্তপাত হয়।
সেই সময় যদি রক্তপাত বন্ধ না হয় তাহলে আমরা ডালিমের পাতা পিষে যদি ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিই তাহলে রক্তপাত ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। ডালিমের গাছের শিকরে অনেক ধরনের ঔষধি গুন রয়েছে আমরা যদি ডালিম গাছের শিকড় খায় তাহলে আমাদের অনেক জটিল ও গোপন রোগ থেকে মুক্ত পাব। তাছাড়া আমাদের যখন পেটের অসুবিধা হয় সেই সময় যদি আমরা ডালিম গাছের চামড়া বা ছোলা যদি পানিতে ভিজিয়ে খায় তাহলে আমাদের পেটের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এজন্য বলা যেতে পারে যে ডালিম ফল আমাদের জন্য অনেক উপকারী। ডালিম ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর দেহ গঠনে সাহায্য করে থাকে।
ডালিম ফলে কি কি ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান থাকে
এখন আমরা জানবো ডালিম ফলে কি কি ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান আছে। ডালিম এমন একটি ফল যেটি পুরোপুরি পুষ্টি উপাদানও ভিটামিন দ্বারা ভরপুর। মানুষের শরীরের জন্য ডালিম ফল অনেক উপকারিতা ও স্বাস্থ্যের জন্য। একটি পরিপুষ্ট সম্পন্ন ডালিমের ভিতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। এক কাপ পরিমাণ ডালিমের দানায় পাবেন প্রতিদিন চাইতে মতো প্রায় ৩০ থেকে ৩৬ শতাংশ ভিটামিন কে। তাছাড়া আরো ডালিমের ভিতর রয়েছে ১২ থেকে ১৬ শতাংশ ভিটামিন বি৯।তাছাড়া ডালিমের ভিতর রয়েছে ১২ শতাংশ পটাশিয়াম। এগুলো আমাদের শরীরে দৈনিক ভিটামিন এর অভাব পূরণ করবে। তাছাড়াও একটি পরিপুষ্ট ডালিমের ভিতর আরো অনেক কিছু রয়েছে। ডালের ভেতর রয়েছে যেমন ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৩ গ্রাম চর্বি এবং ১১.৩ গ্রাম ফাইবার। তাছাড়াও রয়েছে ডালিমের ভিতরে পরিমাণ মতো ভিটামিন সি শের উপাদান।
তাছাড়াও আরো রয়েছেন ভিটামিনের ভিতরে কিছু উপাদান সেগুলো হল ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম। তাই বলা যেতে পারে ডালিম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আমরা যদি নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে আমরা এগুলো পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ইত্যাদি পেয়ে থাকবো।
আমাদের প্রয়োজন দিনে একটি করে হলেও ডালিম ফল খাওয়া উচিত। কারন আমরা দেখলাম ডালিম ফলের ভিতরে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে ভিটামিন রয়েছে। যদি আমরা ডালিম ফল নিয়মিত খাই তাহলে এগুলো পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীর পেয়ে থাকবে। আমাদের শরীর সুস্বাস্থ্য থাকবে ও সুন্দর থাকবে যদি আমরা নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে।
পাকা ও ভালো ডালিম চেনার উপায়
আমাদের মধ্যে অনেকে পাকা ও ভালো ডালিম চিনতে পারে না। তাই এখন আমরা জানবো যে পাকা ডালিম ও ভালো মানের উন্নত ডালিম আমরা চিনবো কিভাবে। মূলত একটি ডালিম গাছে ফুল আসার পর ফল পাকা পর্যন্ত প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। একটি পাকা ও পরিপুষ্ট ফলের খোসা রং হলদে বাদামি কালার হয়ে থাকবে।ডালিম এমন এক ধরনের ফল যে ফল আমরা যদি গাছে বেশি দিন রাখি তাহলে ফলটি ফেটে যাবে ধীরে ধীরে। তাই আমরা যখন বুঝবো যে ফলটি ফেটে যাওয়ার সময় হয়েছে এখন তার আগে অর্থাৎ ফিরে যাওয়ার আগে ফলটি আমরা গাছ থেকে পেড়ে নিব। কারণ সেই সময় ফলটি পরিপুষ্ট ও একটু উন্নত মানের ডালিম হয়ে রূপান্তরিত হয়।
এছাড়াও যখন একটি ডালিম পরিপূর্ণভাবে পেকে যাবে। সেই সময় ডালিম গোলাকার ভাত থেকে একটু চ্যাপ্টা দেখতে লাগবে এবং ডালিমের গায়ে কিছু হালকা হালকা দাগ দেখা যাবে। এ সময় যদি আমরা ডালিমটি গাছ থেকে পেড়ে খায় তাহলে আমরা একটি পরিপূর্ণ ডালিম পাব। আমরা যদি এই ডালিম খাই তাহলে আমরা প্রয়োজন মত আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকবো।
তাই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে ডালিম খাওয়ার আগে পাকা ডালিম ও উন্নত মানের ডালিম নির্বাচন করে খাওয়া।
গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়া যাবে কিনা
আমাদের প্রায় কম বেশি অনেকের মনের প্রশ্ন রয়েছে যে, গর্ভাবস্থার ডালিম খাওয়া যাবে কি? হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়া যাবে। গবেষণা করে দেখা গেছে যে ডালিমের ভিতরে যেগুলো পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে এগুলো একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য ও তার বাচ্চার জন্য অনেক উপকারী। মহিলাদের গর্ভাবস্থায় তাদের অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়।ডালিম এমন এক ধরনের ফল যা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে থাকেন। গর্ভাবস্থায় যদি ডালিম খাওয়া হয় তাহলে গর্ভবতী মা ও তার গর্ভের সন্তান এর শারীরিক বিকাশ খুব সুন্দর হয়। অনেক বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক গবেষণা করে দেখছেন যে গর্ভাবস্থায় ডালমীর দানা ও এর রস পান করা অনেক উপকারী।
ডালিমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, খনিজহ আরো বিভিন্ন ধরনের উপাদান। তাই এখন আমরা জানবো যে গর্ভাবস্থায় ডালিমের উপকারিতা গুলো
1 ডালিমের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এর উপাদান যা গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে থাকে।
2 ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম যা মা ও শিশুর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে থাকে।
3 ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় আমাদের মায়েরা যদি ডালিম খায় তাহলে তাদের দেহে হিমোগ্লোবিন তৈরি হবে যার ফলে শিশু ও মা দুজনে ভালো থাকবে।
4 ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও খনিজ যা গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরের প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম ও খনিজের অভাব পূরণ করে থাকে ও বাচ্চাকে সুন্দর ও সুস্থভাবে পৃথিবীতে আসতে সাহায্য
করে।
5 গর্ভাবস্থায় মহিলারা তাদের শরীরে প্রয়োজনে পুষ্টি উপাদানের জন্য অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন এর ফলে তাদের হজমের সমস্যা দেখা দেয়। যদি গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে এই হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
6 গর্ভাবস্থায় যদি ডালিম খাওয়া হয় তাহলে মা ও শিশুর হাড়ের গঠন মজবুত হবে।
7 গর্ভাবস্থার ডালিম খেলে শিশুর মস্তিষ্কে বিকাশে সাহায্য পেয়ে থাকবে।
8 গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ডালিম খেলে শিশুর দেহের ব্যাকটেরিয়া ও ছাত্ররা দূর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দূর হয়ে যাবে এবং শিশু সুন্দরভাবে পৃথিবীতে আসবে।
তাই আমরা বলতে পারি যে গর্ভাবস্থায় যদি আমরা পরিমাণ মতো ডালিম ফল খাই তাহলে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা নিশ্চিত করবে। আমাদের সকলের প্রয়োজন যে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পরিমাণ মতো ডালিম ফল খেতে দেওয়া। আর একটা জিনিস বিশেষ করে বলা যায় যে ডালিম ফলে প্রচুর পরিমাণ আইরন রয়েছে যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে।
তাই গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ডালিম ফল খাওয়া উচিত কারণ এটি খেলে শিশু ও মা দুজনে ভালো থাকবে।
আরো পড়ুন কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
ডালিম ফল যেগুলো রোগ প্রতিরোধ করে
ডালিম ফল আমাদের শরীরের অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ডালিম ফল এর ভিতরে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে ও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং নিজেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করার সাহায্য করে থাকে। ডালিম ফল যেগুলো রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এখন সেগুলো সম্পর্কে আমরা জানবো। ডালিম ফল ফোন দিয়ে যেগুলো রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে সেগুলো হলো1 আমাদের মধ্যে অনেকেরই হৃদরোগ রয়েছে যদি আমরা নিয়মিত ডালিম খাই তাহলে আমাদের হৃদরোগ দূর হয়ে যাবে।
2 আমাদের মধ্যে প্রায় কম বেশি সবারই হজমের সমস্যা রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত ডালিম ফল খাই তাহলে আমাদের হজম শক্তি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
3 কুষ্টিকাশূন্য সমস্যা যাদের আছে তারা যদি নিয়মিত ডালিম ফল খায় তাহলে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।
4 ডালিম এমন একটি ফল যেটি খেলে ক্যান্সারের মতো রোগ কেউ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডালিমের বিষ আমাদের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। আমাদের ক্যান্সার হাতে বেচতে রোজ প্রতিদিন একটি করে হলেও ডালিম ফল খাওয়া উচিত।
5 শতকরায় ১০০ জন মানুষের মধ্যে পাঁচ জন মানুষ রক্তশূন্যতা আক্রান্ত রোগে ভুগতেছেন। আমাদের মধ্যে যারা রক্তশূন্যতায় রোগে আক্রান্ত তারা যদি নিয়মিত ডালিম খায় তাহলে এই রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যাবে। ডালিমের ভিতরে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে যা আমাদের শরীরে গিয়ে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের প্রতিদিন একটি করে হলেও ডালিম খাওয়া প্রয়োজন।
ডালিম খেলে কী রক্ত বাড়ে
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে যে ডালিম ফল খেলে কি রক্ত বাড়ে? ডালিম এমন এক ধরনের ফল যেটি পুরোপুরি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ডালিম নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করে দেখা গেছে যে ডালিম আমাদের কোলেস্টরল মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও দানের ভিতরে রয়েছে আইরন যা আমাদের হিমোগ্লোবিন অর্থাৎ রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে।এছাড়াও ডালিমের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডালি মামাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর ফলে আমাদের হার্ট অ্যাটাক এর মতো রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ডালিমের রস যদি পান করে তাহলে আমাদের শরীরের রক্তচাপ প্রায় 5 mmHg কমাতে সাহায্য করে থাকে।
তাই আমরা বলতে পারি যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডালিম আমাদের শরীরের রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। ও তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগ অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাক এর মতন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আমাদের প্রয়োজন নিয়মিত দিনে একটা হলেও ডালিম খাওয়া। কারন আমরা জানলাম ডালিমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডালিম আমাদের হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে।
ডালিমের বিচির উপকারিতা
ডালিম এমন এক ধরনের ফল যেটির বিচি খেলেও অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডালিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও ডালিমের বিচি আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।ডালিমের বিচি আমাদের মধ্যে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে ডালিমের বিচি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে ডালিমের বিচি সাহায্য করে। তাই আমরা বলতে পারি যে ডালিম ফল যেমন উপকারিতা তালিমের বিচি ও তেমন উপকারিতা। এক কথায় বলতে পারি যে ডালিমের গাছের শিকড় থেকে মাথা পর্যন্ত অর্থাৎ পাতা পর্যন্ত পুরোটাই উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য।
ডালিমের পাতার উপকারিতা
এখন আমরা জানবো ডালিমের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। ডালিমের পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যদি আমাদের মধ্যে কারো হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা হয় সেই সময় যদি তার শরীরে কোন জায়গা থেকে রক্তপাত হয়। যদি রক্তপাত বন্ধ না হয় তাহলে আমরা ডালিমের পাতা পিষে তার ঐ ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিতে পারি। যদি আমরা ডালিমের পাতা পিষে তার ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিই তাহলে ধীরে ধীরে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।ডালিম গাছের পাতা মধু ও দই একসঙ্গে মিশে ফেলে গর্ভপাতের আশঙ্কা কমে যায়। শিশুদের ঘন ঘন পেটের গোলযোগ হলে,আমরা ডালিম গাছের শিকড় ডালিম গাছের পাতা মধু মিশিয়ে খেতে পারি। তাহলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে।
ডালিম গাছ রোপণ পদ্ধতি
এখন আমরা জানবো ডালিম গাছের ওপন পদ্ধতি সম্পর্কে। এর আগে আমরা জানছি ডালিম গাছের ফল ও ডালিম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে। তাই আমাদের সকলের প্রয়োজন ডালিম গাছ রোপন করা।এখন আমরা জানবো ডালিম গাছ কিভাবে রোপণ করব।ডালিম গাছ প্রায় সব ধরনের মাটিতে জন্মাতে পারে, কিন্তু গাছের পক্ষে সর্বোওম হলো ভারী ধরনের দোআঁশ মাটি, যা গভীর ও জল নিষ্কাশন ব্যবস্হা উওম।ডালিম গাছ হচ্ছে নাতিশীতোষ্ণ, আধা-শুষ্ক অঞ্চলে বেড়ে উঠতে পারে। ডালিম গাছের সর্বোওম বৃদ্ধির জন্য রৌদ্রোজ্জ্বল, উষ্ণ, শুষ্ক আবহাওয়া দরকার,বিশেষ করে গাছে ফল আসার সময় গুরুত্বপূর্ণ। শীত কালে এই গাছের ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া বিশেষ করে প্রয়োজন হয়।মাটির অতিরিক্ত আর্দ্রতা ফলন ও ফলের গুনমান কমিয়ে দেয়।
১ বছর বয়সের প্রতিটি গাছে গোবর ১০ কেজি, ইউরিয়া ১২৫ গ্রাম,টিএসপি ১২৫ গ্রাম এবং পটাশ সার ১২৫ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।প্রতি বছর সারের মাএা প্রয়োজন অনুসারে বাড়াতে হবে। পর্যায়ক্রমে পূর্ণ বয়স্ক প্রতিটি গাছে ৬০ কেজি গোবর, ১.৫ কেজি ইউরিয়া, ১.৫ কেজি টিএসপি এবং ১.৫ কেজি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার রোপনের আগে, ভালোভাবে কর্ষন ও আর্বজনামুক্ত করার পরামর্শ রয়েছে।
যাতে মাটির মধ্যে মিহি গঠনের ও সঠিক বায়ু চলাচল করতে পারে। ডালিম গাছে একাধিকবার কান্ড ছাঁটাই পর্বের সুপারিশ রয়েছে যাতে রোগের বিস্তার এড়িয়ে চলা যায়।ডালিম গাছের পক্ষে সবথেকে ভালো ফোঁটা ফোঁটা করে জলসেচ এবং বছরে ২০ সেমি. করে সরবরাহ করা। ডালিম গাছের জন্য উপযুক্ত সময় ১২০-১৩০ দিন।
চারা লাগানোর আগে গর্ত করার ৮-১০ দিন পর গর্তের মাটির সাথে নিম্নলিখিত হারে সার মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। গর্ত ভরার ২০/২৫ দিন পর চারা রোপন করতে হবে। কমপোস্টের গুড়া ৫০০ গ্রাম, ইউরিয়া ১৫০ গ্রাম, টিএসপি ১০০ গ্রাম, এমওপি ১০০ গ্রাম, জিপসাম ৭০ গ্রাম।উপরোক্ত পরিমান সার দুইভাগে ভাগ করে এক ভাগ জ্যৈষ্ঠ -আষাঢ় মাসে ও আরেক ভাগ আশ্বিন -কার্তিক মাসে গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে।
ডালিমের চাষাবাদ পরিষ্কার - পরিচ্ছন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন এবং নিয়মিত ভাবে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত হালকা পানি দিতে হবে। ছাদের আনার গাছের ডাল নিয়মিত ছাটাই করতে হবে। পুরাতন ডালে নতুন শাখা বের করার জন্য ডাল পালা ছাটাই করা একান্ত প্রয়োজন। গাছকে বর্ষার ফুল আসতে বাধ্য করার জন্য মার্চ -এপ্রিল মাসে ১৫ সেমি. গভীর করে মাটি খুঁড়ে শিকড়গুলোকে ১৫ দিন করে রাখতে হবে।
জৈব সারসহ মাটি চাপা দিয়ে সেচ দিতে হবে।ডালিম গাছে সারা বছরই কিছু না কিছু ফুল আসে।তবে সবসময়ে ফুল থেকে ফল উৎপন্ন হয় না। বর্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে গাছের বৃদ্ধি ও ফুল ফল ধারণ শুরু হয় এবং কার্তিক অগ্রহায়ন মাসে এই ফল সংগ্রহের উপযুক্ত হয়।
ডালিম ফলের কিছু অপকারিতা
ডালিম এমন এক ধরনের ফল যার ক্ষতিকর দিক নাই বললে চলে। কিন্তু আমরা যদি পরিমাণ এর চেয়ে বেশি খায় তাহলে এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে। তা এখন জানব ডালিমের কিছু ক্ষতিকর দিক1 ডালিম সাধারণত ঠান্ডা একটি ফল। যাদের সর্দি কাশি আক্রান্ত তাদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ ডালিম খেলে হয়তো ঠান্ডা আরো বেশি লাগবে এতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
2 যাদের আইডি সমস্যা আছে তাদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়। আর যদি একান্ত ডালিম খেতে ইচ্ছা করে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত হবে।
3 যাদের উচ্চমায় রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য ডালিম খাওয়া উচিত নয়।
মূলত এই ধরনের কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে ডালিমে। তাই আমরা বলতে পারি যে ডালিমে ক্ষতি চেয়ে উপকারিতা পরিমাণ অনেক বেশি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url