আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা। গর্ভাবস্থায় আতা ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে।আতা এমন একটি ফল যা আমাদের দেশে কম বেশি বড় ছোট প্রায় সব মানুষরাই জানে। বাংলাদেশের প্রায় সব বিখ্যাত ফল গুলোর মধ্যে আত একটি অন্যতম ফল। মহিলাদের গর্ভাবস্থায় আতা ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।
গর্ভাবস্থায় আতা ফল খেলে মহিলারা অনেক ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকে। এতে করে বাচ্চা ভালো থাকে। আতা ভরা অনেক উপকারিতা দিক রয়েছে আসুন আজকে আমরা আধা ফলের উপকারিতা দিক সম্পর্কে জেনে নিই।
সূচিপত্র
- আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা
- আতা ফলের বৈজ্ঞানিক নাম
- আতা ফলে কি কি ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে তার পরিমাণ
- গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়া যাবে কি? এর উপকারিতা গুলো
- গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণতা
- গর্ভাবস্থায় কতটুকু ফল খাওয়া উচিত জেনে নিন
- গর্ভাবস্থায় ফলমূলের পাশাপাশি কোন সবুজ পাতা বা শাকসবজি ভালো হবে জেনে নিন
- আতা ফল খেলে কি ওজন কমে
- আতা ফল খাওয়ার কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো
- প্রতিদিন নিয়মিত কোন ফল খাওয়া ভালো
আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা
আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।আতা এমন একটি ফল যা রয়েছে বাহারি নাম। ইংরেজি থেকে বলা হয় কাস্টার্ড আপেল (custard appel)। তবে বাংলাদেশ ে এ ফলকে সবাই আতাফল হিসেবে চিনে থাকে। আতা ভরে রয়েছে অনেক উপকারিতা দিক এখান থেকে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি ভিটামিন শর্করা ইত্যাদি পেয়ে থাকি। আতা ফলটি মূলত শীতকালীন ফল। এ ফলটি আমরা শীতকালে পেয়ে থাকি। চলুন আতা ফলের উপকারিতা দিকগুলো জেনে নিই
- আতাফল হয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন। কাছে রয়েছে ভিটামিন সি, অত্যাচারাল দা ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপকরণ।
- আতা ফলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপকরণ রয়েছে বলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে থাকে।
- চোখ ভালো রাখতে সবুজ শাক সবজির পাশাপাশি ফলমূল এদেরও ভূমিকা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে আতা ফল খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।
- আতা ফল এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সলিউয়েবল ভাইবার যা হজম শক্তি ভালো করে থাকে, হজম শক্তির সমস্যা গুলো দূর করে থাকে।
- তাছাড়া আতা ফল খেলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
- আমরা যদি প্রতিনিয়ত আতা ফল খাই তাহলে যাদের ডায়াবেটিস বেশি হয়ে যায়, এই ফলটি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
- আতা ফলে ভিটামিন নিয়ে থাকার কারণে আমাদের চোখ চুল ও ত্বকের উপকার হয়ে থাকে।
- আতা ফল কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে থাকে।
- যাদের হাঁপানি রয়েছে তারা নিয়মিত আতাফল যদি খায় তাহলে হাঁপানি দূর হয়ে যায় ধীরে ধীরে।
- যাদের রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত তারা নিয়মিত আতা ফল খেলে রক্ত শূন্যতা দূর হয়ে যায়।
- আতা ফল আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে থাকে।
তাই বলা যায় যে আদাবরের অনেক উপকারিতা দিক রয়েছে। তাই আমরা যদি নিয়মিত আতা ফল খায় তাহলে আতা ফলের এই উপকারিতা দিকগুলো আমাদের শরীরে পেয়ে থাকবে। শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা ইত্যাদি দূর হয়ে থাকবে।
আতা ফলের বৈজ্ঞানিক নাম
আতা এমন একটি ফল যার সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। আদা ফলটি বিশ্বের প্রায় সকল মানুষ চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানে এই জন্য আতাফল এর বৈজ্ঞানিক নাম রয়েছে। আতাফল এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো ইংরেজি নামটা হলো কাস্টার্ড অ্যাপেল, সুগার পাইন অ্যাপেল, সুইটসপ, পাইন অ্যাপেল ইত্যাদি
(custard apple,sugar apple, pineapple and sweetsop) এগুলো হলো আতা ফলের ইংরেজি ও বৈজ্ঞানিক নাম। আতা ফল বিশ্বব্যাপী পরিচিত বলে আতাফল এর বিজ্ঞানী ও ইংরেজি নাম রয়েছে। এগুলোর কারণ হলো আতা ফলের অনেক উপকারিতা দিক রয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি এটি ভারত পাকিস্তান এ ওয়ে ফোর্টি অনেক পরিচিত।
আতা ফলে কি কি ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে তার পরিমাণ
আতা এমন একটি ফল যা আমাদের সকলের প্রিয় একটি খাবার। আতাফলটি রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। অতঃপর যদি আমরা নিয়মিত খাই তাহলে আমাদের আমাদের শরীর ঠিকমতো পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন, শর্করা, প্রোটিন ইত্যাদি পেয়ে থাকবে। এখন আমরা জেনে নেই যে, প্রতি ১০০ গ্রাম আতা ফল খেলে পাওয়া যাবে, পানি ৭২ গ্রাম, প্রোটিন পাওয়া যাবে ১.৭ গ্রাম, আইইউ পাওয়া যাবে ৩৩ গ্রাম, শর্করা পাওয়া যাবে ২৫ গ্রাম।
ভিটামিন সি পাওয়া যাবে ১৯২ মিলিগ্রাম, ইয়ামিন ০.১ মিলিগ্রাম পাওয়া যাবে, রিবোফ্লাবিন পাওয়া যাবে 0.1 মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে ৩০ মিলিগ্রাম, আইরন পাওয়া যাবে ০.৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যাবে ১৮ মি গ্রাম, ফস ফস পাওয়া যাবে ৩৮২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম পাওয়া যাবে ৪ মিলিগ্রাম, নিয়াসিয়ান ০.৫ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক এসিড ০.১ মিলিগ্রাম পাওয়া যাবে।
এগুলো উপাদান আমরা আতা ফল থেকে পেয়ে থাকবো। তাই আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও এইগুলো উপাদান পাইতে আমাদের নিয়মিত আতা ফল খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়া যাবে কি? এর উপকারিতা গুলো
আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছ। আতা ফল এটি পুরোটাই পুষ্টি উপাদান,ভিটামিন ইত্যাদি দ্বারা পরিপূর্ণ। এটা সাধারন সাধারণ মানুষের জন্য অনেক উপকারিতা। অনেকে জানতে চেয়েছেন যে গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়া যাবে কি? হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় অত ফল খাওয়া যাবে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের জন্য আতাফল একটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর ফল। গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনে কিছু ভিটামিন, খনিজ পদার্থের ভান্ডারের ভেতর রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভবতী মায়েদের জন্য আতা ফল অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। চলুন জেনে নিই গর্ভাবস্থা ফলের উপকারিতা দিকগুলো
- অতঃপর রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন B6 এর উপস্থিতি। ফলে মহিলাদের বমি বমি ভাব অসুস্থতা ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- প্রায় বেশিরভাগ মহিলারই গর্ভাবস্থায় রক্তচাপের প্রবণতা দেখা দেয়। যদি আধা ফল নিয়মিত খায় তাহলে এর ভিতরে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর উপাদান পেয়ে থাকবে যা, মহিলাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকবে।
- অতঃপর রয়েছে ভিটামিন সি এর উপস্থিতি। এটি খেলে গর্ভবতী মহিলা এ ভিটামিনের অভাবটি পূরণ হয়ে যাবে।
- আতা ফল এরয়েছে প্রচুর পরিমান আন্টিঅক্সিডেন্ট এর উপস্থিতি যার ফলে মা ও শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- নিয়মিত আতা খেলে পরিমাণ মতো মহিলাদের বুকের দুধ তৈরি হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণতা
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের আতা ফল খাওয়া নিরাপদ। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর হয়ে থাকে সেগুলো হলো
- আতা হলো একটি লোভনীয় ফল, যা মানুষ খেতে লাগলে কিছু কিছু মানুষ তার পরিমাণ এর চেয়ে বেশি খেয়ে থাকে গর্ভাবস্থায়। যদি গর্ভাবস্থায় একটি পরিমাণ এর চেয়ে বেশি খাওয়া হয় তাহলে হজম শক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- তাছাড়া আতা ফলটি একটি ঠান্ডা খাবার। যদি পরিমাণ এর চেয়ে বেশি খাওয়া হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে মা ও বাচ্চা দুজনেরই। বাচ্চা জন্মের পর নিউমোনিয়ার মতন রোগ দেখা দিতে পারে।
- এছাড়া যেসব গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের আতা ফল এড়িয়ে চলাটাই অনেক ভালো হবে। কারণ আতা ফলে রয়েছে অনেক পরিমান চিনির উপাদান। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যেতে পারে। পরবর্তীতে গর্ভবতী মায়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে যার প্রভাব তার বাচ্চার উপরে পড়বে।
গর্ভাবস্থায় কতটুকু ফল খাওয়া উচিত জেনে নিন
এতক্ষণ আমরা আতাফল সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো গর্ভকালীন অবস্থায় মহিলাদের কতটুকু ফল খাওয়া দরকার। একটি মহিলার পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল খাওয়া প্রয়োজন কারণ ফলমূল থেকে সে ভিটামিন, খনিজ, ইত্যাদি পেয়ে থাকবে। গর্ভ অবস্থায় একটি মহিলাকে স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে আমাদের হবে। তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি যুক্ত খাবার দিতে হবে।
পর্যাপ্ত বিভিন্ন পুষ্টি ও ভিটামিনের ফলে বাচ্চা সুন্দর ও সুস্থ ভাবে পৃথিবীতে আসবে। প্রয়োজনের সমস্ত পুষ্টি পেতে বিভিন্ন ধরনের খাবার দিতে হবে। যেমন প্রতিদিন সাত থেকে দশটা রুটি খেতে দিতে হবে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ টি ফল খেতে দিতে হবে কিন্তু ফলগুলো থাকবে বিভিন্ন রকমের। এ বিভিন্ন রকমের ফল খাওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বাচ্চা ও তার মা পেয়ে থাকবে। তাছাড়া নিয়মিত শাকসবজি ইত্যাদি খেতে দিতে হবে। কারণ গর্ব অবস্থায় মায়েদের শাকসবজি অর্থাৎ সবুজ খাবার খুব প্রয়োজন।
তাছাড়া প্রোটিন খাবার দিতে হবে যেমন মাছ, মাংস, ইত্যাদি দিতে হবে। এগুলো খাবার গর্ভাবস্থায় আমাদের গর্ভবতী মায়েদের খাবার খেতে দিতে হবে। কারণ পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজন হবে এই সময়। এই শাকসবজি,ফলমূল, মাংস, এগুলো থেকে পেয়ে থাকবে। তাজ নিয়মিত পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন, প্রোটিন ইত্যাদি পেয়ে থাকে যদি তাহলে বাচ্চা পৃথিবীতে সুন্দর ও সুস্বাস্থ্যভাবে আসবে।
আরো পড়ুন প্রতিদিন কয়টা করে লবঙ্গ খাওয়া উচিত? লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ফলমূলের পাশাপাশি কোন সবুজ পাতা বা শাকসবজি ভালো হবে জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের হরমোনের পাশাপাশি সবুজ খাবার বা শাকসবজি ইত্যাদি খাবারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কারণ সবুজ খাবারের ফলে বাচ্চা সুন্দর সুস্বাস্থ্যভাবে পৃথিবীতে আসে। তাই গর্ভাবস্থায় পালং শাক ছাড়াও অন্যান্য শাক সবজির মধ্যে রয়েছে লাল শাক, পাট শাক ইত্যাদি। নিয়মিত করে প্রতিদিন এগুলো শাক । প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৮০০ মাইক্রগ্রাম শাখ খাওয়ার প্রয়োজন। আধা কাপ পালং শাক এ রয়েছে ১৩০ মাইক্রগ্রাম ফোলেট থাকে। তাছাড়া ফোলেট এর বড় উৎস হল মটরশুটি মটরশুটি খেলে উপাদান গুলো পেয়ে মটরশুটি থেকে অনেক বেশি পরিমাণ হলে পাওয়া যায়। তাই গর্ভকালীন অবস্থায় মহিলাদের সুস্বাস্থ্য থাকার জন্য সবুজ শাকের প্রয়োজন রয়েছে।
আতা ফল খেলে কি ওজন কমে
আতা ফল এমন একটি ফল যেটি খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকারিতা রয়েছে। অনেকে জানতে চেয়েছে যে আতা ফল খেলে কি ওজন কমে? হ্যাঁ আতা ফল খেলে ওজন কমে। আতাফল এর ভিতরে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে ফলে। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য এগুলো খনিজ পদার্থ সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও মানুষের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি সমস্যা ও উপকারিতা করে থাকে। যাদের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য বা কিডনির সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত আতা ফল খেলে তাদের ওজন ঝরাতে ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে।
আতা ফল খাওয়ার কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো
আতা এমন একটি ফল যার খুব একটা ক্ষতিকর দিক নেই বলতে গেলে অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক নাই বলেই চলে। আতার উপকারিতা অনেক বেশি ক্ষতির চেয়ে। আমরা জানি মানুষের শরীরের জন্য অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। এইজন্য অতিরিক্ত আতাফল মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে যদি আমরা পরিমানে চেয়ে বেশি খায় তাহলে। তাহলে বদ হজম প্রচন্ড আকারে পেটে ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিবে।
যাদের শরীরে অধিক পরিমাণ এলার্জি রয়েছে তারা পরিমাণ এর চেয়ে বেশি খেলে তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার যাদের ডায়াবেটিস অল্প তারা যদি পরিমাণ এর চেয়ে বেশি আতা ফল খেয়ে থাকে তাহলে তাদের শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে,কারণ আতা ফলে রয়েছে অনেক চিনির পরিমাণ। তাই পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত।
প্রতিদিন নিয়মিত কোন ফল খাওয়া ভালো
প্রতিদিন আমাদের নিয়মিত কিছু না কিছু একটা ফল খাওয়া উচিত। ভালো ও পছন্দের মধ্যে রয়েছে কমলা, আপেল, বেদেনা, আতা, কলা ইত্যাদি। এগুলো ফল আমাদের নিয়মিত খাওয়া উচিত। ফলগুলোতে রয়েছে প্রয়োজনীয় পরিমান ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ। তাছাড়া ফলগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তাই নিয়মিত এই ফলগুলো আমাদের খাওয়া উচিত।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি আপনার সকল তথ্য জানতে পেরেছেন আতা ফল সম্পর্কে। আতে এমন একটি ফল যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এড়ি থেকে আমরা পরিমাণমতো ভিটামিন,পুষ্টি উপাদান ইত্যাদি পেয়ে থাকি। তাছাড়া এটি গর্ভাবস্থায় ছেলে বাচ্চা ও বাচ্চার মায়ের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। তারা সঠিক পরিমাণ ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে। আতা ফল অনেক সুস্বাদু ফল তাই ছোট বড় অনেকেই এই ফলটি খেতে অনেক পছন্দ করে থাকে। আতাফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url