মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এখন জানবো। মানবদেহে মানুষের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি চাহিদের জন্য মিল্ক শেক ব্যবহার করা হয়। মিল্ক শেক কোন খারাপ খাবার নয় যদি আপনি এটি সঠিক নিয়ম মেনে খান তাহলে এটি আপনি সুরের জন্য অনেক উপকারিতা হয়ে থাকবে।
 সাধারণত মিল্ক শেক নিয়মিত খেলে আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। মিল্কশেকের উপকারিতা অনেক রয়েছে। কিন্তু আমরা যদি সঠিক নিয়ম না মেনে খায় তাহলে উপকারীর পাশাপাশি ও অপকারিতা দেখা দিবে।

সূচিপত্র 

মিল্ক শেক কি  

মিল্ক শেক কি? এখন আমরা মিল্ক শেক সম্পর্কে জানবো। বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের প্রায় মানুষ মিল্ক শেক সম্পর্কে জানে না। তারা এখনো ভালোভাবে বোঝে না যে মিল শেক কি? মিল্ক শেক হলো এক ধরনের তরল মিষ্টি পানি। মানবদেহে পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য মিল্ক শেক অনেক উপকারী। 

বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য মিশ্রণ তৈরি মিল্ক শেক। মিল্ক শেক তৈরিতে সাধারণত ব্যবহার করা হয় দুধ, চিনি ও বিভিন্ন ধরনের ফল বা ফলের গন্ধ বা স্বাদ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। মিল্কশে কে বিভিন্ন ধরনের ফলের রস বা গন্ধ যোগ করা হয় যেমন কাঁঠাল, আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি, খেজুর, আঙ্গুর, চকলেট,মালটা সহ বিভিন্ন ধরনের। মিল্ক শেক আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

 যারা আমাদের মধ্যে ডায়েট কন্ট্রোল সহজ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন তারা কিছুটা হলে মিল্ক শেক সম্পর্কে জানে। মিল্ক শেক বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভার বা বিভিন্ন ধরনের সাধ আমরা নিতে পারি।

মিল্ক শেক খেলে কি হয়

মিল্ক শেক খেলে কি হয়? এ প্রশ্ন আমাদের কম বেশি প্রায় সবার মনে রয়েছে। মিল্ক শেক আমাদের স্বাস্থ্যকে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। মিল্ক শেক ভিতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। মিল্ক শেক আমাদের শরীরকে সুন্দর ও সতেজ রাখে। মিল্ক শেক এ বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম থাকাই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

এছাড়াও ভিতরে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ লবনে উপস্থিত রয়েছে। যার ফলে আমাদের দাঁত,নখ, চুল মজবুত করে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণ এনজাইম রয়েছে যা আমাদের হজমশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। মিল্ক শেক আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

মিল্ক শেক এর উপকারিতা 

এখন আমরা মিল্ক শেক এর উপকারিতা সম্পর্কে জানবো। গবেষণা করে দেখা গেছে যে মিল্ক শেক এর ভিতর প্রচুর পরিমাণ উপকারিতা রয়েছে মানুষের শরীরের জন্য। মিল্ক শেক এ প্রচুর পরিমাণ ফাইবার এবং কার্বন ভিত্তিক জ্যাথাম গাম রয়েছে। মিন শেক আমাদের স্বাস্থ্য কে সুন্দর করে রাখতে সাহায্য করে। 
বাহিরে দোকানে মিল্ক শেক খাওয়ার চেয়ে আপনি যদি ঘরে বানিয়ে মিল্ক শেক কে থাকেন তাহলে,আপনি বাইরের তুলনায় পুষ্টি উপাদান বেশি পেয়ে থাকবেন। আসুন আমরা এখন জানবো মিল্ক শেক খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হয়।

1 আমাদের শরীরের ভিটামিনের অভাব দূর করে দেয় মিল্ক শেক খেলে।
2 মিল্ক শেক হলো ইলেকট্রোলাইট পানীয় যা আমাদের শরীরকে সুন্দরও সতেজ রাখতে সাহায্য করে থাকে। 
3 মিল্ক শেক আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।
4 মিল্ক শেক খেলে আমাদের শরীরের খুদা দূর করার একটি বিকল্প উপায়। 
5 মিল্ক শেক দ্রুত সময়ের মধ্যে খাওয়া যায় এবং সব জায়গায় এটি বহন করা যায়। 
6 মিল্ক শেক খেতে খুব সুস্বাদু। সাধারণত ছোট বাচ্চারা মিল্ক শেক খেতে বেশি পছন্দ করে থাকে।
7 মিল্ক শেক আমাদের শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত করতে সাহায্য করে থাকে। 
8 আমাদের যাদের নিয়মিত হজম শক্তিতে সমস্যা হয়ে থাকে তারা মিল্ক শেক খেতে পারি।কারণ মিল্ক শেক খেলে হজমশক্তির সমস্যা দূর হয়ে যায়। 
9 মিল্ক শেক আমাদের মস্তিষ্ক ও বিকাশের সাহায্য করে থাকে। 
10 মিল্ক শেক থেকে আমরা যে পরিমাণ প্রোটিন পায় তার ফলে আমাদের যাদের পেশিতে সমস্যা আছে। এ পেশী সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।

মিল্ক শেকআমাদের শরীরের জন্য তাই অনেক উপকারী। এটি আমাদের শরীরে প্রয়োজনের ক্যালসিয়াম ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব পূরণ করে থাকবে। বিশেষ করে এটি আমাদের শরীরের ভিটামিন ডি এর হওয়া পূরণ করে থাকবে। 
বর্তমান সময়ে অনেক শিশু বাচ্চা যারা ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের বৃদ্ধি ও হার শক্তিতে মারাত্মকভাবে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যদি আপনি নিয়মিত মিল্ক শেক খেয়ে থাকেন তাহলে এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।

মিল্ক শেক এর পুষ্টি উপাদান সমূহ 

এখন আমরা জানবো মিল্ক শেক এর পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। মিল্ক শেক এ প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে। মিল্ক শেক আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী বিশেষ করে এর ভিতর বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানসমূহ ও ভিটামিন। এখন আমরা জানবো ১০০ গ্রাম মিল্ক শেক এ কি কি পরিমান ভিটামিন রয়েছে ও কি কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

 ১০০ গ্রাম মিল্ক শেক এ রয়েছে সোডিয়াম ৯৫ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১ ৮৩ মিলিগ্রাম, কোলেস্টোরল ১২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ডি রয়েছে ১২%, ম্যাগনেসিয়াম ৩%, ক্যালসিয়াম রয়েছে ১৪%। তাছাড়াও মিলক শেক এর ভিতরে রয়েছে ক্যালোরি ১১১.৯ গ্রাম, শর্করা ১৮ গ্রাম, ফ্যাট ১.৯ গ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ৩.৯ গ্রাম।এখন আমরা জানতে পারলাম যে মিল্ক শেক এর এর ভিতরে কি কি ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। 

তাছাড়া আমরা জানলাম যে মিল্ক শেক খেলে আমরা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের শরীর পেয়ে থাকবে। তাই আমাদের প্রয়োজন নিয়মিত একবার করা হলেও দিনে মিল্ক শেক খাওয়া। কারণ এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক একটি উপকারী এর ভিতরের ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান।

মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম 

প্রত্যেকটি খাবার যদি আমরা নিয়ম মেনে খাই তাহলে সে খাবারটি খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকবে। তেমনি মিল্ক শেক যদি আমরা প্রতিদিন নিয়ম করে খাই তাহলে এটি থেকে আমাদের শরীর অনেক উপকার পেয়ে থাকবে। সাধারণত আমরা যদি সকালে উঠে চা বা কফির সাথে মিল্ক শেক মিশিয়ে খায় তাহলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপহার হবে।

 মিল্ক শেক এ প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যদি আমরা নিয়মিত খাই বা রুটিন করে খায় খায় তাহলে অনেক উপকার পাব। তাছাড়াও আমরা বিকেলের টাইমে মিল্ক শেক খেতে পারি কারণ বিকেলে আমাদের শরীরে একটু এনার্জি প্রয়োজন হয় সেই সময় যদি আমরা মিল্ক শেক খাই তাহলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হবে।

 এছাড়াও বাচ্চাদের জন্য মিল্ক শেক অনেক উপকারী একটি খাবার। যদি ছোট বাচ্চাদের সকালে দুধের সাথে মিল্ক শেক মিশিয়ে দেওয়া হয় তাহলে বাচ্চারা অনেক আনন্দ করে খাবে। বাচ্চারা মিল্ক শেক ও দুধ মিশিয়ে খাওয়ার ফলে তাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পরিমাণ পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন পেয়ে থাকে। তাছাড়া সন্ধ্যার সময় বাচ্চাদেরকে মিল্ক শেক খাবার দেওয়া যাবে।
 তাছাড়াও মিল্ক শেক এমন একটি খাবার যেটি আমরা বড় ছোট সবাই খেতে পারি। মিল্ক শেক যেকোনো সময় খাওয়া যাবে এতে করে কোন অসুবিধা নাই।

চকলেট মিল্ক শেক

মিল্ক শেক অনেক ধরনের রয়েছে এর মধ্যে একটি হলো চকলেট মিল্ক শেক। চকলেট মিল্ক শেক খেতে খুব সুস্বাদু। চকলেট মিল্ক শেক সাধারণত বাচ্চারা বেশি পছন্দ করে থাকে। বাচ্চাদের পছন্দের মধ্যে একটি খাবার চকলেট মিল্ক শেক। আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে চকলেট মিল্ক শেক অনেক উপকারিতা করে।

 চকলেট মিল্ক শেক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় 

প্রথমে ২ কাপ পরিমাণ দুধ, ৩-৪ চামচ পরিমাণ ভ্যানিলা ফ্লেভার, ১ টি কলা ও দুই চা চামচ পরিমাণ লিকুইড চকলেট। সাধারণত এগুলো দিয়ে চকলেট মিল্ক শেক তৈরি করা হয়।

খেজুরের মিল্ক শেক

আমরা একটু আগে চকলেট মিল্ক সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা জানবো খেজুরের মিল্ক শেক সম্পর্কে। মিল্ক শেক এরমধ্যে অন্যতম একটা মিল্ক শেক হলো খেজুরের মিল্ক শেক। খেজুরের মিল্ক শেক হলো খুব সুস্বাদু একটি খাবার। এ খাবার আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে। তাছাড়াও এই খেজুরের মিল্ক শেক যারা নিয়মিত ডায়েট কন্ট্রোল করে থাকেন তারা খেয়ে থাকেন এই খেজুরের মিল্ক শেক। খেজুরের মিল্ক শেক খেলে ডায়েট কন্ট্রোল করা সম্ভব হবে। 

খেজুরে মিল্ক শেক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় যেগুলো 

প্রথমে ৮-১০ টি খেজুর নিতে হবে। এরপরে এক গ্লাস পরিমাণ ঘন দুধ নিতে হবে, ৪-৬ পরিমাণ কাঠ বাদাম নিতে হবে, ১ চা চামচ চিনি নিতে হবে। এরপর একটি গ্লাসে ৪-৫ টুকরো বরফ নিতে হবে। সাধারণত এইভাবে বাসায় বসে থেকে তৈরি করতে পারবেন আপনি খেজুরের মিল্ক শেক।
তাই বলা যেতে পারে যে খেজুরের মিল্ক শেক আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমাদের উচিত সবারই নিয়মিত খেজুরের মিল্ক শেক খাওয়া। 

মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে

মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে? এ প্রশ্নটি আমাদের প্রায় কম বেশি অনেকে মনে রয়েছে। হ্যাঁ আমরা যদি নিয়মিত মিল্ক শেক খাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ওজন বাড়বে। বিশেষ করে মিল্ক শেক এ চিনি বা ক্যালোরি পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন হয়ে থাকবে যে এখানে কিভাবে ক্যালোরি পরিমাণ বেশি?

 এখানে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি কারণ এর ভিতরে রয়েছে চিনি, সিরাপ, দুধ, ক্রিমসহ নানা উপাদান এই জন্য এখানে ক্যালোরি পরিমাণ অনেক বেশি। বিশেষ করে বাদাম মিলক শেক খেলে ওজনের পরিমাণ বাড়বে। আমাদের মধ্যে যারা চিকন সম্ভবত তারা ওজন বাড়ানোর জন্য এই বাদামের মিল্ক শেক কে থাকে। 

বাদামের মিল্ক শেক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ চিনি ও প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি এর ফলে,আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে থাকে বাদামির মিল্কশেক। আমাদের এইটা মনে রাখতে হবে যে সবকিছু পরিমাণ চেয়ে বেশি খাওয়া উচিত নয় যদি আমরা পরিমানে চেয়ে বেশি খায় তাহলে আমাদের শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের পরিমাণ মতন মিল্ক শেক খাওয়া উচিত।

প্রতিদিন নিয়মিত মিল্ক শেক খেলে কি হয় 

আমরা যদি প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমাণ মতন মিল্ক শেক খাই তাহলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার হবে। মিল্ক শেক এ রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। এর ফলে আমাদের শরীরের ভিটামিন ও ক্যালরি অভাব দূর হয়ে যাবে। আমাদের মধ্যে যারা বেশি রোগ আক্রান্ত বা চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী তারা নিয়মিত মিল্ক শেক যদি খায়। 
তাহলে তাদের শরীরের গঠনের পরিবর্তন হবে। এবং তাদের শরীর আগের তুলনায় অনেক সুন্দর ও একটু স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে থাকবে। মিল্ক শেক খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আমরা যদি নিয়মিত মিল্ক শেক খাই তাহলে আমাদের শরীরের ভিতরে ক্লান্তি তা দূর হয়ে যাবে ও শরীর সুন্দর ভাবে কাজ করবে।

 মিল্ক শেক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি এর উপাদান। আমরা যদি নিয়মিত মিল্ক শেক খায় তাহলে আমাদের শরীর পরিমাণ মতন ভিটামিন ডি এর উপাদান পেয়ে থাকবে। আমাদের শরীরে যাদের গ্লুকোজের অভাব আছে তারা যদি নিয়মিত মিল্ক শেক খাই তাহলে এই গ্লুকোজের অভাব দূর হয়ে যাবে। 

মিল্ক শেক খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যাবে স্বাস্থ্য সুন্দর হবে ও সতেজ হয়ে থাকবে। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রতিদিন একবার হলেও মিল্ক শেক খাওয়া এরফলে আমাদের শরীরের ক্লান্তি ভাবটা দূর হয়ে যাবে।

           আরো পড়ুন ডালিম ফলের উপকারিতা। ডালিম ও বেদানার মধ্যে পার্থক্য

গর্ভাবস্থায় মিল্ক শেক খাওয়া যাবে কি

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনে একটি প্রশ্ন আছে। গর্ভাবস্থায় মিল্ক শেক খাওয়া যাবে কি না? হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় মিল্ক শেক খাওয়া যাবে। গর্ভাবস্থায় মিল্ক শেক খেলেও অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। মিল্ক শেক এ প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক উপকারী। গর্ভাবস্থায় মিল্ক শেক খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। এখন আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় মিল্ক শেক এর উপকারিতা গুলো 
1 গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ডায়েট কন্ট্রোলে মিল্ক শেক সাহায্য করে থাকে। 
2 গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক সময় বদহজম হয়ে থাকে। যদি গর্ভাবস্থায় মিল্ক শেক খাওয়া যায় তাহলে এই বদহজমের থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 
3 মিল্ক শেক এর ভিতরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি এর উপাদান রয়েছে। যদি নিয়মিত এই মিল্ক শেক নিয়মিত খেলে বাচ্চা ও মায়ের ভিটামিন ডি এর অভাব থেকে রক্ষা পাবে। 
4 মিল্ক শেক এ প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি উপাদান রয়েছে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ক্যালোরি ঠিক রাখা অনেক প্রয়োজন। তাই আমাদের নিয়মিত গর্ভাবস্থায় মহিলাদের মিল্ক শেক খাওয়ানো। 
5 গর্ভাবস্থায় খেজুরের মিল্ক শেক খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। 
6 গর্ভাবস্থায় মিল্ক শেক খেলে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। 

তাই আমরা বলতে পারি যে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের মিল্ক শেক খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। আমাদের পরিমাণ মতন দিনে মিল্ক শেক খাওয়া উচিত। যদি গর্ভাবস্থায় পরিমাণ মতন মিল্ক শেক খাই তাহলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি গর্ভাবস্থায় পরিমাণের চেয়ে বেশি মিল্ক শেক তাহলে শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 অতিরিক্ত কোন কিছু শরীর জন্য খুব একটা ভালো না। যদি আমরা সেটা পরিমাণ মতো খাই তাহলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে। তাই বলা যায় যে গর্ভাবস্থায় পরিমাণ মতন মিল্ক শেক খেলে শরীরের অনেক উপকারিতা দেখা দিবে।

মিল্ক শেক পাউডারের উপকারিতা 

এখন আমরা জানবো মিল্ক শেক পাউডারের উপকারিতা সম্পর্কে। মিল্ক শেক পাউডার আমাদের জন্য অনেক উপকারী। মিল্ক শেক পাউডার থেকে আমরা পরিমাণ মতন আমাদের প্রয়োজনের ভিটামিন ও পুষ্টি পেয়ে থাকি।মিল্ক শেক পাউডারের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এখন আমরা জানবো মিল্ক শেক পাউডারের উপকারিতা গুলো 

1মিল্ক শেক পাউডার খেলে আমাদের শরীরের ভিটামিন ডি ও ভিটামিনের ডি অভাব দূর হবে।
2 নিয়মিত মিল্ক শেক পাউডার খেলে আমাদের শরীরের খনিজের অভাব দূর হবে।
3 নিয়মিত মিল্ক শেক পাউডার খেলে আমাদের শরীরের হাড়ের ক্ষয় রোগ দূর হবে। 
4 নিয়মিত মিল্ক শেক পাউডার খেলে আমাদের আমাদের শরীরের হাড় মজবুত হবে।
5 নিয়মিত মিল্ক শেক পাউডার খেলে আমাদের শরীরের প্রোটিন এর অভাব দূর হয়ে যাবে।
6 নিয়মিত মিল্ক পাউডার খেলে আমাদের দাঁত, নখ, চুল ইত্যাদি মজবুত হবে। 
7 নিয়মিত মিল্ক শেক পাউডার খেলে আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর হবে। 

তাই আমরা বলতে পারি যে আমরা নিয়মিত মিল্ক শেক পাউডার খেতে পারি। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমাদের সকলের প্রয়োজন দৈনিক নিয়মিত মিল্ক শেক পাউডার খাওয়া।

হাড়ের গঠন বৃদ্ধি ও মজবুতে মিল্ক শেক এর ভূমিকা

হাড়ের গঠন বৃদ্ধিতে ও আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করতে মিল্ক শেক অনেক বড় ভূমিকা রাখে। আমরা যদি নিয়মিত মিল্ক শেক খায় তাহলে আমাদের শরীরের হাড় গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে  আমাদের শরীরের হাড় গঠন ও হার মজবুত করতে সহায়তা করে থাকবে। আমাদের মধ্যে অনেকের ই শরীরের হাড় ক্ষয়ে যায়। যদি আমরা নিয়মিত মিল্ক শেক খায় তাহলে হাড়ের ক্ষয় রোধ হতে রক্ষা পাবো। একটি বাড়ন্ত বয়সের পর ছেলে-মেয়েদের নিয়মিত খাওয়ালে তাদের হাড় সুস্থ থাকবে।হাড় ও দাঁতের একটি আদর্শবান খাবার হিসেবে বিবেচিত করা হয় মিল্ক শেক‌। মিল্ক শেক এর ভিতরে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে যা আমাদের হাড় মজবুদ করতে সাহায্য করে।

মস্তিষ্ক ভালো রাখতে মিল্ক শেকের উপকারিতা

মস্তিষ্ক ভালো রাখতে মিল্ক শেক উপকারিতা অনেক রয়েছে। মিল্ক শেক আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের মিল্ক শেক খেতে অনেক বেশি ভালোবেসে থাকে। বাচ্চাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখতে মিল্ক শেক অনেক বড় ভূমিকা রাখে। মিল্ক শেক আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা করে।

 মিল্ক শেক এর অন্যতম উপকারিতা হলো এটি আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের মস্তিষ্কের ফ্রী রেডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিরক্ষা করে। এর জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো হবে ফ্রুটস মিল্ক শেক।

মিল্ক শেক এর দাম বাংলাদেশে কত 


মিল্ক শেক আমাদের ছোট-বড় প্রায় সবার একটি প্রিয় খাবার।এই মিল্ক শেক আপনি চাইলে নিজের ঘরে বসে বানাতে পারবেন অথবা বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি তৈরি কৃত পণ্য কিনে নিতে পারবেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘরে বসে থেকে মিল্ক শেক এর মূল্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে খুঁজে থাকে। এখন আমরা জানবো মিল্ক শেক এর মূল্য সম্পর্কে। আমাদের দেশের বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির মিল্ক শেক পাওয়া যায়।

 বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিভেদে মিল্ক শেক এর মূল্য বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। বাজারে যেসব উন্নত মানের মিল্ক শেক সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যানানা মিল্ক শেক, স্ট্রবেরি মিল্ক শেক, চকলেট মিল্ক শেক, পিনাট মিল্ক শেক। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির পণ্যের মূল্য বিভিন্ন ধরনের। এখন আমরা বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির মূল্য সম্পর্কে জানবো 

1savory milkshakes premix valnila -180 taka
2 malteseres  chocolate milkshake -700 taka
3milky way chocolate milkshake- 800 taka

এখন আমরা জানলাম কিছু কিছু কোম্পানির মিল্ক শেক এর মূল্য সম্পর্কে।

মিল্ক শেকের অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দিক 

এখন আমরা জানবো মিল্ক শেক এর অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দিক সম্পর্কে। মিল্ক শেক আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো এটা যেমন ঠিক। আমরা যদি পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণ মিল্ক শেক খাই তাহলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর লক্ষণ দেখা দিবে। এখন আমরা জানবো মিল্ক শেক এর ক্ষতিকর বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দিকগুলো 

1 পরিমাণ চেয়ে বেশি মিল্ক শেক খেলে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি হবে। 
2 যদি আমরা বেশি পরিমাণ মিল্ক শেক খায় তাহলে আমাদের শরীরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিবে 
3 মিল্ক শেক খেলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে। আমাদের মধ্যে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের মিল্ক শেক থেকে দূরে থাকা উচিত। 
4 অতিরিক্ত মিল্ক শেক খেলে আমাদের বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
5 যাদের উচ্চতা রক্তচাপ রয়েছে তাদের মিল্ক শেক খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি খেলে রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। 
6 যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের মিল্ক শেক খাওয়া উচিত নয়। মিল্ক শেক খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। 
তাই আমাদের এগুলো দিক বিবেচনা করে মিল্ক শেক খাওয়া প্রয়োজন। আমরা একটা কথা সবাই জানি যে অতিরিক্ত কোন কিছুই আমাদের শরীরের জন্য ভালো না। যদি আমরা মিল্ক শেক প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খায় তাহলে আমাদের এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি আপনার সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। মিল্ক শেক আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী আমরা যদি নিয়ম করে খাই তাহলে আমাদের শরীর এর থেকে অনেক উপকার পেয়ে থাকবে। মিল্ক শেক রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকি। 

যদি আমরা পরিবারের চেয়ে বেশি খায় তাহলে আমাদের শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এক কথায় বলা যেতে পারে যে মিল শেক আমাদের শরীর জন্য অনেক উপকারী যদি সেটি আমরা পরিমাণ মতো খায় তাহলে।










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url